কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে অবৈধ দখলদারদের রাজত্ব, জনদুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক •

জনগুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের স্টেশন চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। সড়কের ফুটপাতসহ সবকিছুই দখলে নিয়েছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে আর্থিক লেনদেন। যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে সড়কের উপর অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের নামে চলছে আর্থিক লেনদেন। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর পার্কিং বসিয়েছে কতিপয় দখলদাররা। যার কারণে যানজট ভোগান্তি নিরসন হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার করা হলেও তা জনসাধারণের প্রয়োজনে আসছে না।

বিগত মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটি মাসিক সভায় উখিয়া উপজেলার ফুটপাত দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেন উপজেলার প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দরা। সড়কের উপর গড়ে উঠা ফুটপাত ও পার্কিং সরাতে মার্কেট মালিকদের অবগত করা হয়।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়,সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেনের স্লেপ যথাসময়ে না বসানোর কারণে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর হয়ে গেছে ড্রেইনগুলো। যা আগামী বর্ষায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পুনরায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পথচারীরা জানান, সড়ক প্রশস্তকরণ করেও চলাচলে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

ফুটপাত দখল রোধে ও সড়কের উপর যত্রতত্র পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকেও(১৪ই জানুয়ারি) উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যানজট সৃষ্টির দায়ে যানবাহনগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান,ফুটপাত সরাতে সংশ্লিষ্ট মার্কেট মালিকদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছ। অবৈধ ফুটপাত দখল ও যত্রতত্র পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান।

এদিকে,উখিয়ার মরিচ্যা বাজার,কোটবাজারে সড়কের উপর গড়ে তুলেছে শতাধিক ঝুপড়ি দোকান। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করছে এসব অবৈধ ঝুপড়ি দোকান ও পার্কিং। যা সরানো না গেলে সড়কটি একসময় দখলদারদের কবলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে সচেতন মহল।

তবে,যানজট নিরসনে মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।